সৎ কাজে আদেশ এবং অসৎ কাজে নিষেধ ইসলামে এই দুইটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
মুমিনদের বৈশিষ্ট্য হল যে তারা সৎকাজে আদেশ করবে এবং অসৎ কাজে নিষেধ করবে।
আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কুরআন শরীফে বলেছেন,
তোমাদের মধ্যে এমন একদল লোক অবশ্যই থাকতে হবে যারা মানুষকে কল্যাণের দিকে আহবান করবে, সৎ কাজে আদেশ এবং অসৎ কাজে নিষেধ করবে, তারাই সফলকাম।(সূরা আল ইমরান আয়াত ১০৪)
সৎ কাজে আদেশ এবং অসৎ কাজে নিষেধ ঈমানের অনিবার্য দাবি।
অসৎ কাজ সংঘটিত হলে তাতে বাধা না দিলে কোন ব্যক্তি পূর্ণাঙ্গ ঈমানদার হতে পারে না।
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
তোমাদের মধ্যে কোন মন্দ কাজ হতে দেখলে তার উচিত হাত দ্বারা তা পরিবর্তন করে দেওয়া।
যদি তাতে শক্তি না রাখে তবে জেনো মুখের দ্বারা পরিবর্তন করে দেয়। যদি তাতেও শক্তির না রাখে তবে অন্তর দ্বারা যেন খারাপ জানে এবং পরিবর্তন করে দেওয়ার চিন্তা করে ।(সহীহ মুসলিম )
সৎ কাজে আদেশ এবং অসৎ কাজে নিষেধ ছেড়ে দেওয়ার কারণে সামাজিক নিরাপত্তাহীনতা যেমন বৃদ্ধি পায় তেমনি মানুষ ক্ষতির দিকে নেমে যায় এবং ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায়।
ইবাদাত কো দুয়া কবুলের প্রথম শর্ত হলো সৎকাজের আদেশ এবং অসৎ কাজে নিষেধ করা।
আল্লাহর কাছে সৎ কাজে আদেশ এবং অসৎ কাজে নিষেধ এর গুরুত্ব অনেক বেশি।
হুযাইফা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন
-ঐ সত্তার শপথ যার হাতে আমার প্রাণ তোমরা অবশ্যই সৎকাজে আদেশ করবে এবং অসৎ কাজ হতে নিষেধ করবে।
নতুবা অচিরেই তোমাদের নিকট আল্লাহর শাস্তি পাঠাবেন। অতঃপর তোমরা তার কাছে দোয়া করবে কিন্তু দোয়া কবুল হবে না।
( তিরমিযি হাদিস নং ২১৬৮)
আল্লাহ আমাদের সৎ কাজে আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আনাদের আল্লাহর সাহাজ্য পেতে হলে সৎ কাজে আদেশ ও অ সৎ কাজে নিষেধ করতে হবে । এটি সব মুসলমানদের করা ফরজ।
অন্য এক হাদিসে বর্ননা করা হয়েছে,
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত আছে, হে লোকসকল আল্লাহ তা’আলা তোমাদের কে বলেছেন তোমরা সৎকাজের আদেশ করো এবং অসৎ কাজ হতে নিষেধ করো।
নতুবা তোমরা আমার কাছে দোয়া করবে কিন্তু আমি তা কবুল করব না।
আমার কাছে চাইবে কিন্তু আমি তা দেব না এবং আমার কাছে সাহায্য চাইবে কিন্তু আমি সাহায্য করব না। (মুসনাদে আহমদ হাদিস নং ২৫২৯৪)